
সরকারি স্কুলে ভর্তিতে কোটা পদ্ধতি থাকছে
- Select a language for the TTS:
- Bangla Bangladesh
- Bangla Bangladesh Male
- Bangla India Female
- Bangla India Male
- Language selected: (auto detect) - BN
Play all audios:

সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিতে কোটা পদ্ধতি থাকছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত নীতিমালায় কোটা প্রথা বহাল রাখা হয়েছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন
স্বাক্ষরিত এই নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৬ বছর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে লটারি ও ২য় থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। ভর্তির
ফরম ১৭০ টাকা। এলাকা কোটা ৪০-সহ অন্যান্য কোটা বহাল রাখা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর স্কুলে পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা রেখে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সবার
জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ২ শতাংশ প্রতিবন্ধী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানের জন্য ২
শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে নির্ধারিত কমিটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সভা করে সময় নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। নীতিমালায় শিক্ষার্থীর বয়স, ভর্তি
পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ, ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি, বিদ্যালয়গুলোর ক্লাস্টার বিভক্তি, ভর্তির আবেদন ফরম, উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফল তৈরি বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর
অবস্থান, শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি বিদ্যালগুলোকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিভক্ত করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা আবেদন ফরমে পছন্দক্রম উল্লেখ করে দেবে। ভর্তি ফরম ভর্তির ফরম
বিদ্যালয়ের অফিসে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, ডিসি অফিস, বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এবার ভর্তির আবেদন ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা। সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
নির্ধারিত থেকে বেশি হবে না। ভর্তি পরীক্ষার সময় ও মানবণ্টন দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-৫০; এর মধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫, গণিত-২০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম
শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-১০০। এর মধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০, গণিত-৪০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা। নীতিমালায় ভর্তি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।