রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ


Play all audios:


এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা, সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদদের শ্রদ্ধা জানান


হুইলচেয়ারে করে আসা একদল যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে একে একে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী


সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনারের বেদি। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুরসহ


বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে একুশের প্রথম প্রহরে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। অমর একুশে পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থানসহ একুশের প্রভাতফেরি প্রদক্ষিণের এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা


ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে শহিদ মিনারে প্রবেশের রোডম্যাপ। আজ সরকারি ছুটির দিন। প্রতি বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে পালনের


জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি এ দিনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করা


হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও


কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষাশহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বাংলাসহ


অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীতে ট্রাকের মাধ্যমে রাজপথে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর


ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন সংস্থা আয়োজন করছে নানা ধরনের


অনুষ্ঠান। জাতীয় জাদুঘর ও অধীনস্থ শাখা জাদুঘরগুলো এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশুদের বিনা টিকিটে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছে।