
ঝক্কি-ঝামেলা সঙ্গী করে ঢাকা ছেড়েছে লাখো মানুষ
- Select a language for the TTS:
- Bangla Bangladesh
- Bangla Bangladesh Male
- Bangla India Female
- Bangla India Male
- Language selected: (auto detect) - BN
Play all audios:

বুধবার সকাল থেকেই কঠোর লকডাউনে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে জাতিকে বাঁচাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বন্ধ থাকবে সব ধরণের গণপরিবহন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। তাই
যে যেভাবে পারছেন, সেভাবেই রাজধানী ছাড়ছেন। সোমবার ও মঙ্গলবার লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এমন দৃশ্য সাধারণত ঈদের সময় দেখা যায়। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সড়ক-মহাসড়কে রাতেও ছিল মানুষের ভীর। প্রচন্ড
গরম, দু:সহ যন্ত্রনা ভুলে প্রাইভেটকার, পিকআপ, ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল এমনকি রিক্সা, ভ্যানে করেও মানুষকে ছুটতে দেখা যায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে কিছু কিছু গণপরিবহও রাজধানী ছেড়ে যায়।
রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, কাজলা, শনিরআখড়ায় অসংখ্য মানুষের জটলা। কোনো পিকআপ, প্রাইভেটকা বা মাইক্রোবাস দেখলেই ১০/১৫ জন মিলে ঘিরে ধরছে দেখা গেছে বাড়িমুখি এসব মানুষদের। ড্রাইভার বা
হেলপারের সাথে দর কষাকষি শেষে ঝটপট উঠে পড়ছেন অনেকে। তবে এসব যাত্রীদের দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, সাইনবোর্ড এলাকায় দেখা যায় তীব্র যানজট। ঘরে ফেরা
মানুষ আর যানবাহনের ভীড়ে স্থবির হয়ে পড়েছে মহাসড়কের যান চলাচল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর থেমে থেমে অনেক গণপরিবহন ঢাকা ছেড়েছে। প্রতিটি গাড়ি ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
বাদুর ঝোলা ঝুলতে দেখা গেছে অনেককে। বিশেষ করে ট্রাক ও পিকআক ভ্যানে যাতায়াত ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ফুটপাতের দোকানদার সালাম জানান, দোকান বন্ধ থাকলে তো পরিবার চলবে না, পেটের ক্ষুধাও মিটবে না। তাই
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি। বাড়ি গিয়ে কি করবেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, ধানকাটবো। সোহাগ নামে এক যুবক জানান, কিশোরগঞ্জ যাচ্ছি। গাড়ীর অপেক্ষায় আছি। দেখছি পরিবহন চলছে। ভাড়া নিচ্ছে ৪০০ টাকা।
কপাল ভালো হলে, কোনো গাড়িতে করে চলে যাবো গ্রামে।